রাসুলে কারীম (দঃ)- এর ওসীয়্যত

হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু তা‌‌আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হযরত আবু জর (রাঃ) কে সাতটি বিষয়ে ওসীয়্যত করলেন আর বললেন যে, এগুলো কখনো ছাড়বে না-

১। গরীব মিসকীনদের ভালবাসবে এবং তাদের সান্নিধ্য লাভ করবে।
২। নিজের থেকে ছোট ও কম মর্যাদাবানদের প্রতি লক্ষ করবে। (এতে নেয়ামতের শুকরীয়া আদায়ের তওফিক হবে।)
এ হুকুমটি পার্থিব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, দ্বীনের ব্যাপারে সব সময় নিজ থেকে অন্যকে উচ্চ ও উত্তম মনে করবে, যাতে অধিক নেকী হাছিলের আগ্রহ জন্মে।
৩। সর্বাবস্থায় আত্নীয়দের সাথে আত্নীয় সুলভ আচরণ করবে, যদি তারা সম্পর্ক ছিন্ন করে। সম্পর্ক ছিন্ন কারীদের সাথে আত্নীয় সুলভ আচরণ করাই হলো প্রকৃত সদাচরণ।
৪। لاَحَوْلَوَلاَقُوَّةَ اِلاَّ بِاللهِ
(লাহাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ) অধিক পরিমানে পড়তে থাকবে। (এ কলেমা নেকী সমূহের খাজনা, ট্রেজারী।)
৫। কখনো কারো কাছে সওয়াল (ভিক্ষা, করবেনা, সর্দারে দু’জাহান (সাল্লাল্লাহু তা‌‌আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রতি আমরা কুরবান যে, তিনি উম্মতের ইজ্জত-সম্মান রক্ষায় কতইনা খেয়াল ও চিন্তা রেখেছেন।
৬। আল্লাহর হুকুম পালনে কোন ভৎসনাকারীর ভৎসনা বা তিরস্কারকে ভয় করবে না, আল্লাহ্ ওয়ালাদের এটাই মান-সম্মান।
৭। সদা সর্বদা ও সর্বাবস্থায় হক (সত্য) কথা বলবে, তা যতই তিক্ত হয় না কেন, (এটাই উত্তম জেহাদ)।
সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) বলেন, তার পর থেকে (হযরত) আবু জর (রাঃ) এর অবস্থা এই দাঁড়িয়েছিল যে, তিনি বাহনে চলাকালিন হাত থেকে বেত্রটি পড়ে গেলে কাউকে উঠিয়ে দিতে বলতেন না, বরং বাহন থেকে নেমে নিজেই নিজের বেত্র উঠিয়ে নিতেন।
(আফসোস যদি আমরা আমাদের ইজ্জত, সম্মান ও মর্যাদা বুঝতাম, তাহলে কতইনা ভাল হতো)।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply