লোভের প্রকারভেদ

লোভ-লালসা দুই প্রকারের হয়:

১। নিন্দনীয় ২। অনিন্দনীয়।
নিন্দনীয় লোভ হলোঃ মানুষ গর্ব, অহংকার ও মালদার হইবার খাহেশে সব সময় মাল-সম্পদ পুঞ্জিভুত করার জন্যে এমন ভাবে ঝুকে পড়ে যে, তখন আল্লাহর হুকুম পর্যন্ত ভুলে যায় এবং হালাল-হারামেরও পার্থক্য করেনা। আল্লাহ্ পাক আমাদের সকলকে এ ত্থেকে হেফাজত করুন।-আমিন
অনিন্দনীয় লোভ হলো:
মানুষ নিজের এবং বিবি-বাচ্চার যিন্দেগী অতিবাহিত করার মানসে এমন ভাবে হালাল রুজী অর্জনের ফিকির করবে যেন আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের অনুসরণ করার মধ্যে বিন্দু পরিমানও ব্যতিক্রম না ঘটে।
হযরত ওমর ফারুক (রাঃ)-এর জীবনের এক ঘটনা
হযরত ওমর ফারুক (রাঃ)-এর কন্যা উম্মুল মোমেনীন হযরত হাফসা (রাঃ) এক বার পিতা মুহতারামের কাছে আরজ করলেন, আব্বাজান! এখন তো অবস্থার উন্নতি হয়েছে, আগের মত অভাব-অনটন নেই, তাহলে কতই না ভাল হতো, যদি খাওয়া-পরার মান কিছুটা উন্নত করা যেত।
হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) বললেন, আচ্ছা, তাহলে এটার ফায়সালা তোমার দ্বারাই করিয়ে নেই। অতঃপর তিনি হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)-এ জীবন যাপনের ধারাবাহিক অবস্থা একের পর এক বলতে লাগলেন আর হযরত হাফসা (রাঃ) কে বারংবার জিজ্ঞেস করতে লাগলেন যে, তুমিই বল, হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে তোমার জীবন কেমন কাটিয়েছে?
এ কথা এত বার বলতে লাগলেন যে, অবশেষে হযরত হাফসা (রাঃ) কাঁদতে লাগলেন। তখন হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) বললেন, আমার আগে আমার দুই সাথী এক বিশেষ ধরনের যিন্দেগী আতিবাহিত করে গেছেন। আল্লাহর কছম আমিও তাদের পদাস্কানুসরণ করে চলবো এবং তাদের মত সবরের জীবন অতিবাহিত করবো, যাতে তাদের মত আখেরাতে উত্তম ও আরামের জীবন পেতে পারি।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply